লালমনিরহাট জেলায় চলতি মৌসুমে  কৃষি জমির প্রায় দুই -তৃতীয়াংশ  জমিতে বিষপাতা তামাক চাষ হচ্ছে। এ কারণে, একদিকে যেমন তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, সেই সাথে  নষ্ট হচ্ছে জমির জৈবিক শক্তিও। এছাড়াও তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ করার কারণে কৃষক পরিবারের  লোকজন থাকছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে। ফুসফুসের রোগ সহ বিভিন্ন রকমের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায়।
বর্তমান এই জেলায় প্রায় দশ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষের  রেকর্ডে দেখালেও বাস্তবে তামাক চাষ হয়েছে অনেক বেশি  জমিতে‌।   জানা যায়, কৃষকদের তামাক চাষে উৎসাহিত করার জন্য ঋণ সুবিধা দেয় টোব্যাকো কোম্পানীগুলো।  যার ফলে, দিন দিন এ অঞ্চল বেড়েই চলেছে বিষবৃক্ষ তামাকের  চাষ। সামান্য কিছু মুনাফার  আশায় তামাক চাষে মনোনিবেশ করেছেন  এই জেলার অধিকাংশ  গরিব কৃষকরা।
 জেলার অনেক এলাকা ঘুরে এমন টাই দেখা গেছে। তামাক চাষ কেন করছেন জানতে  চাইলে  জেলা সদরের  মোগলহাট ইউনিয়নের কৃষক কামাল (৩৪), কোরবান(৪০) মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বাবলা(৬০)  বলেন, আমরা গরীব মানুষ। তামাকের আবাদে আমাদের খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। বরং, সারসহ  কীটনাশকের সব খরচ দিয়ে থাকে  টোব্যাকো কোম্পানীগুলো
তাই, আমরা গত কয়েক বছর ধরে  তামাক চাষ করছি।তামাকে  আমাদের লাভ  হয় বেশি।এছাড়াও আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর, সাপ্টিবাড়ী, ভেলাবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন ঘুরে বেশ কিছু কৃষকের সাথে দেখা হলে  কথা তারাও একই ধরনের কথা বলেন।
 জেলার কৃষি  বিভাগের কৃষকদের এ বিষয়ে বেশি করে ধান, পাট, গম, ভুট্টা, মসুর, কালাই, কাউন বিভিন্ন রকমের সবজি সহ  অন্যান্য ফসল জমিতে  চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করার প্রচারণা তেমন নেই বললেই চলে। এবিষয়ে জেলা কৃষি সস্প্রসারণ কর্মকর্তা শামীম আশরাফ বলেন, সামান্য মুনাফার আশায় তামাকের চাষ করছেন  কৃষক।বৃষবৃক্ষ এ চাষে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। ধান ,গম, পাট সহ বিভিন্ন রকমের শাক সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে আমাদের কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকদের পরামর্শ ও কৃষি সহায়তা প্রদান করে আসছে।